চুয়াডাঙ্গায় আগুনঝরা গরম, ৪১.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
চুয়াডাঙ্গায় বিরামহীন দাবদাহে জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। রোদের তীব্রতায় কোথাও কোথাও সড়কের পিচ পর্যন্ত গলে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটে লোক চলাচল নেই বললেই চলে।
আজ শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল মাত্র ২৪ শতাংশ। এর আগে দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা—৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস—রেকর্ড হয়েছিল চুয়াডাঙ্গাতেই।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, জেলার উপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
এদিকে চরম এই গরমে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। রোজগারের তাগিদে তাদের রোদ আর দাবদাহ উপেক্ষা করেই রাস্তায় নামতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদরের কুন্দিপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক রশিদুল ইসলাম বলেন, তীব্র রোদ গরম অপেক্ষা করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি যাত্রীর আশায়। কিন্ত রাস্তায় কোন মানুয না থাকায় ভাড়া হচ্ছে না।
পথচারী আব্দুর রহিম বলেন, এতো রোদ গরমে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। খুব জররী প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছি। কিন্তু রাস্তায় দাঁড়ালে মনে হয় আগুন ঝরছে। মাথা গরম হয়ে চোখে ঝাপসা দেখছি, মুখ পুড়ে যাচ্ছে।
অস্বাভাবিক গরমে শুধু শ্রমজীবী নয়, শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থরাও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা ও ঘামজনিত সমস্যার রোগী বাড়ছে বলেও জানা গেছে।