বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের আগমন, নাম এখনো নির্ধারিত নয়
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আসছে। প্রতি বছর এপ্রিল, মে, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় যেন এক অনিবার্য দুর্যোগ হিসেবে ফিরে আসে। যদিও প্রাণহানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে, তবুও বিপুল সম্পদ ও অবকাঠামোর ক্ষতি আজও থেমে নেই।
চলতি মে মাসেও বঙ্গোপসাগরের আকাশে ঘনীভূত হচ্ছে উদ্বেগের মেঘ। এক বেসরকারি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়াবিদদের মতে, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি সার্কুলেশন সিস্টেম সৃষ্টি হতে পারে, যা ধাপে ধাপে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং পরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ২৩ মে’র দিকে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
এখনো ঘূর্ণিঝড়টির নাম নির্ধারণ হয়নি। গঠনের পর এর গতি ও শক্তিমত্তা বিবেচনা করে World Meteorological Organization (WMO) নামকরণ করবে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আরও সতর্ক করে জানিয়েছেন, মে মাসের একেবারে শেষের দিকেও আরেকটি ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, যা উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। ফলে উপকূলীয় এলাকার জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হচ্ছে। তবে ঠিক কোন অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়টি সবচেয়ে বেশি আঘাত হানবে, তা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়টি সম্পূর্ণরূপে গঠিত হওয়ার পরেই নির্ভরযোগ্য পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।