বিয়ের ৫ মাসে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
কক্সবাজারের টেকনাফে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় গৃহবধূর এ রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামীর পরিবার এটাকে আত্মহত্যা বললেও, হত্যার দাবি তার পরিবারের।
বুধবার (১৪ মে) ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজার ঘোনা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতনে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। হত্যার পর বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা।
নিহত লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) হ্নীলা পূর্ব সিকদার পাড়ার মাস্টার মীর কাশেমের মেয়ে।
মৃতের পারিবারিক সূত্র জানায়, পাঁচ মাস আগে রোজার ঘোনা এলাকার নুর আহাম্মদের ছেলে আব্বাস উদ্দিনের (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় মরজানের। একপর্যায়ে পরিবারের অজান্তে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের তিন মাস না যেতেই স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করেন আব্বাস। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়াও হয়। এর জেরে বুধবার রাতে স্বামী আব্বাস মরজানকে মারধর করে। এতে তার মৃত্যু হয়।
মরজানের দুলাভাই নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গভীর রাতে আব্বাসের বড় ভাই আমাকে ফোন দেয়। সে বলে, আমার শ্যালিকা আত্মহত্যা করেছেন। ভোরে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছেন।’
নিহতের বাবা মাস্টার মির কাসেম বলেন, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে থেকে ময়নাতদন্ত শেষে আমার মেয়ের লাশ দাফনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনার রহস্য উন্মোচন হবে, আমরা মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মারজানের স্বামী আব্বাস উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল কার্যক্রম শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’