সরকারের ভুল নীতিতে আ. লীগ সমর্থকের কারখানা বন্ধ ও শ্রমিক ছাঁটাই সমর্থনযোগ্য নয়: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের ভুল নীতির কারণে আওয়ামী লীগ সমর্থক মালিকদের কারখানা বন্ধ হয়ে শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে, যা অনুচিত। তিনি বলেন, শ্রমিক সমাজের এখন বেঁচে থাকাই কষ্টকর।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান, আগামীকাল মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, “সরকারের ফ্যাসিবাদী মনোভাব ও অগণতান্ত্রিক শ্রমআইনে মালিক পক্ষের স্বার্থকে প্রধান্য দেওয়ায় শ্রমিক সমাজ সর্বত্র হয়রানিসহ নানাবিধ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। শ্রমিকদের সংগঠিত হওয়া ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমজীবী মানুষের জীবন আজ ওষ্ঠাগত। সরকারের-গ্যাস বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে এর প্রভাব শুধু সাধারণ জনগণের ওপরই নয়, উৎপাদন খাত শিল্প-কলকারখানাগুলোতেও পড়েছে। ফলে বন্ধ হচ্ছে কলকারখানা। সরকারি খাতের পাটকল ও চিনিকলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বেকার হয়েছে লাখ লাখ শ্রমিক।”
রিজভী বলেন, “সরকারি দপ্তরগুলোতে নিয়মিত পদ বিলুপ্ত করে আউট সোর্সিং নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে শ্রমের ক্ষেত্রগুলো ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে শিক্ষিত লাখ লাখ বেকার।”
তিনি বলেন, “অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, শোভন কাজ, নিরাপদ কর্মক্ষেত্রসহ অন্যদের ন্যায় শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থার দাবিতে শ্রমিক শ্রেণি তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্লাটফর্ম হিসাবে শ্রমিক দল কর্তৃক আয়োজিত মে দিবসের শ্রমিক সমাবেশ ও র্যালিতে সর্বস্তরের শ্রমজীবী মানুষ অংশ নেবেন।”
রিজভী বলেন, “শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে ১২ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন করা হয়েছে। মহান মে দিবস পালনের লক্ষ্যে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে গঠিত পাঁচটি উপকমিটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, স্মরণকালের ভয়াবহ দাবদাহ উপেক্ষা করে অধিকার প্রতিষ্ঠার এই মহান দিনে শ্রমজীবী মানুষ তাদের দুঃখ-কষ্ট যাতনার প্রতিবাদে শ্রমিক দলের সমাবেশে উপস্থিত হবেন। সেই সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখবেন।”