সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি মহাসমাবেশ আয়োজন করেছে। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত ঘটনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে সমাবেশে চারটি প্রধান দাবি উত্থাপন করা হয়েছে:
-
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল।
-
সংবিধানে "আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস" পুনঃস্থাপন।
-
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত ঘটনার বিচার এবং হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার।
-
ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে সরকারের কার্যকর ভূমিকা।
হেফাজতের নেতারা সমাবেশে উল্লেখ করেছেন যে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ইসলামবিরোধী। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি এই প্রস্তাব বাতিল না করা হয়, তাহলে সারা দেশে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়বে।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই সমাবেশে ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন। শাহবাগ, নীলক্ষেত, দোয়েল চত্বরসহ বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল করে তারা সমাবেশস্থলে পৌঁছান।
সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়া, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলাম মতিঝিলের শাপলা চত্বরে একটি সমাবেশ আয়োজন করে, যা পরবর্তীতে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব মামলার প্রত্যাহার এবং ঘটনার বিচার দাবি করে আসছেন।
হেফাজতে ইসলামের এই মহাসমাবেশ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তারা বলছেন, এই সমাবেশের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম তাদের দাবিগুলোকে পুনরায় সামনে আনতে সক্ষম হয়েছে।