বরগুনায় বেতাগী পৌরসভার সাবেক মেয়র এ বি এম গোলাম কবিরসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের ১৫৮ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (৩ মে) বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনিব্যবস্থা নেয়া হবে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বরগুনা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন লাগানো এবং হাতবোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে।’

বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে এস এম নইমুল ইসলাম এ মামলাটি করেছেন বলে জানা গেছে।

মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া মামলার আসামিদের তালিকায় রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ও এমপি গোলাম সরোয়ার টুকু, সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন, আমতলী পৌরসভার সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান, বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির এবং তালতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল কবির জোমাদ্দার।

মামলার বাদি এস এম নইমুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নেতারা মিছিল নিয়ে এসে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালান। এতে তার ব্যক্তিগত অফিস কক্ষ তছনছ করা হয় এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম ভেঙে ফেলা হয়। এসব ভাঙচুর করা জিনিসপত্র রাস্তার মাঝখানে ফেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

আরো বলা হয়েছে, এ সময় বিএনপি কার্যালয়ের দিকে একাধিক হাতবোমা ছোড়া হয়। ঘটনার পর প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও তখন কোনো সাড়া পায়নি বলে দাবি করেছেন মামলার বাদি।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, নাশকতা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলাটি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।