ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ মন্তব্য করেছেন, জাতীয় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান যদি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়াতেন না, তাহলে আজ বিপদে পড়তে হতো না।

শনিবার (৩ মে) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন’-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

হাফিজ উদ্দিন জানান, সাকিব এক সময় তার বাসায় দেখা করতে আসেন। এ সময় তাকে রাজনৈতিকভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। “আমি তাকে বলেছিলাম—যা কিছু করো, আওয়ামী লীগে যেও না। সে শুনে একটু চুপ করে গেল। তার ধারণা ছিল, আওয়ামী লীগে গেলে মন্ত্রী হবে, এমপি হবে। আমি বলেছিলাম, আমিও খেলোয়াড় ছিলাম, আমাদেরও জনপ্রিয়তা ছিল, কিন্তু খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় রাজনীতিতে যাওয়া উচিত নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমি তাকে বলেছিলাম, আওয়ামী লীগের দিন ফুরিয়ে এসেছে। এই দল বেশিদিন টিকবে না। কিন্তু সে আমার পরামর্শ শোনেনি। এখন সে দেশে ফিরতেই পারছে না।”

প্রসঙ্গত, সাকিব আল হাসান দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মাগুরা-১ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন এবং এখনো দেশে ফেরেননি।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, “যদি সাকিব আমার কথা শুনতো, আওয়ামী লীগের হয়ে সাজানো নির্বাচনে অংশ না নিত, তাহলে আজ ঢাকার রাজপথে সম্মানের সঙ্গে চলাফেরা করতে পারত। এখন তো তার নিজ বাড়িতে যেতেও সমস্যা হচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য অবসর নেওয়া জাতীয় ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। তাকে উদ্দেশ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, “তোমার জনপ্রিয়তা অনেক, কিন্তু রাজনীতিতে পা বাড়ানোর আগে অনেক ভাবো।”

আওয়ামী লীগ সরকার ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয়করণ ও ব্যক্তি-পূজায় কলুষিত করেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্রীড়াক্ষেত্রেও একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। সেখানেও প্রতিযোগিতা ও মেধার জায়গা সংকুচিত হয়েছে।”

এ দিন ‘বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন’ আত্মপ্রকাশ করে, যারা জাতীয়তাবাদী ক্রীড়া সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দেয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতারা—আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, আমিনুল হক, শরীফুল আলম ও ইশরাক হোসেন।