খালেদা জিয়া বাসভবন ‘ফিরোজা’র পথে, সাথে জুবাইদা রহমান

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার (৬ মে ২০২৫) সকালে লন্ডনে চার মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। সকাল ১০টা ৪১ মিনিটে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির প্রদত্ত বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই পুত্রবধূ—ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।

বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় হাজারো নেতা-কর্মী দলীয় ও জাতীয় পতাকা, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা' পর্যন্ত সড়কে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে।

খালেদা জিয়ার আগমনের আগে থেকেই 'ফিরোজা' বাসভবনটি প্রস্তুত করা হয়। বাসার আঙিনা সাজানো হয়েছে ফুলগাছের টব দিয়ে, ভেতরের কক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অংশ নিয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্রের উত্তরণকে আরও সহজ করবে।” তিনি আরও বলেন, “তিনি দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়নের শিকার হয়ে বিদেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন। এখন তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন, এটি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়”

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায়, যদিও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার প্রক্রিয়ার অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময় নিতে পারে বলে জানিয়েছে

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া কারাবন্দি হন। ২০২০ সালে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান। ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির আদেশে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা মামলার রায় বাতিল হয়, যা তাঁর রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের পথ সুগম করে

এই প্রেক্ষাপটে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা বিএনপির জন্য শুধু রাজনৈতিক নয়, প্রতীকী দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে, যা আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতিতে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।