খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন, পথে পথে শুভেচ্ছা

আজ, ৬ মে ২০২৫, দীর্ঘ চার মাস পর চিকিৎসা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশে ফিরেছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাতারের রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সঙ্গে ছিলেন তার দুই পুত্রবধূ, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। জোবাইদা রহমান ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন।

বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা পর্যন্ত পুরো পথে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে অভ্যর্থনা জানান। ফুল, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানে সড়কজুড়ে নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন তারা। দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী, নেতাকর্মীরা ফুটপাতে অবস্থান নেন এবং রাস্তা অবরোধ এড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দর ও সড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে সহজ করবে। আজ দেশের জন্য ও জনগণের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য দিন।” 

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে থাকা খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠানো হয়। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি লন্ডনে যান এবং সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। লন্ডন থেকে দেশে ফেরার সময় কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই তিনি দেশে ফিরেছেন।

আজকের এই দিনটি বিএনপি ও তার সমর্থকদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি দলের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।