ঢাকা, ৬ মে ২০২৫ – লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান তিনি।

এর আগে, সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে, বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী গাড়িবহর নেতাকর্মীদের বাঁধভাঙা উল্লাসের মধ্যে গুলশানের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে-পথে দলীয় নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়ে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান তিনি।

বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির জানান, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন তার দুই পুত্রবধূ ড. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান। এছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য নেতারাও তার সঙ্গে ছিলেন।

বেগম জিয়ার দেশে ফেরার খবরে সকাল থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় নেতাকর্মীদের ঢল নামে। তারা বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনা করে স্লোগান দেন এবং তাকে স্বাগত জানান। নেতাকর্মীরা আশা প্রকাশ করেন, বেগম জিয়ার দেশে ফেরার মাধ্যমে বিএনপি পুনরায় শক্তিশালী হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।

এর আগে, লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৫ মে (সোমবার) দুপুরে তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে আসেন। ১৭ বছর ধরে প্রবাসে অবস্থান করা বড় ছেলে তারেক রহমানের জন্য মা ও স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে বিদায় দেওয়া ছিল আবেগের। বিমানবন্দরে তাদের গাড়ি পৌঁছালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে আসেন হাজার হাজার প্রবাসী নেতাকর্মী। স্লোগান দিয়ে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানান। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিদায়ী অভ্যর্থনায় সিক্ত হন বেগম জিয়া। এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাস্যোজ্জ্বল মুখে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। সেইসঙ্গে নেতাকর্মীদের তারেক রহমানকে দেখে রাখতে বলেন বেগম জিয়া।

লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা ও পরিবারের সান্নিধ্যে চার মাস কাটিয়ে দেশে ফিরলেন বেগম খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূ ছাড়াও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য, যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কায়সার এম আহমেদও দেশে ফিরেছেন।