খালেদা জিয়া ও জিএম কাদের। ফাইল ছবি

দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের আশা প্রকাশ করেছেন, দেশে ফিরে তিনি রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও ঐক্যের মাধ্যমে চলমান সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

মঙ্গলবার (৬ মে) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জি এম কাদের বলেন, “দীর্ঘদিন চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকার পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফিরে আসা নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়। আশা করি, তিনি দেশে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য এবং পারস্পরিক সহনশীলতা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবেন। তার অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দেশের বর্তমান সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশ আজ এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক অস্থিরতা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও রাজনৈতিক বিদ্বেষ—সব মিলিয়ে দেশ এক ক্রান্তিকালে উপনীত হয়েছে। পরস্পরের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ, বিভক্তি ও প্রতিহিংসার রাজনীতি সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করছে। এ অবস্থায় অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে বেগম জিয়া জনগণের মাঝে ঐক্য, সহনশীলতা ও আস্থার বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন বলে আমরা মনে করি।”

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সৌজন্যে প্রদত্ত একটি আধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

তার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন দুই পুত্রবধূ—ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান। দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে ফিরেছেন জোবাইদা রহমান, যিনি ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশ ত্যাগ করেছিলেন।