সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে চার মাসের চিকিৎসা শেষে ৬ মে ঢাকায় ফিরে এসেছেন। তার এই প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চার করেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে রয়েছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুস। গত বছর আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর এই সরকার গঠিত হয়। এই সরকার আগামী ডিসেম্বর বা পরবর্তী বছরের জুন মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তবে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির ওপর তা নির্ভর করছে।

খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন বিএনপি ও সমর্থকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার উপস্থিতি দেশের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। আমরা বিশ্বাস করি, খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য সহায়ক হবে।"

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, খালেদা জিয়ার দেশে ফিরে আসা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও জনপ্রিয়তা বর্তমান সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তন দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে এবং আগামী নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজন নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।