বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ এখন একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তার দাবি, নির্বাচন বিলম্ব নয়, বরং এখনই প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের।

বুধবার (৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক পরিষদ। কর্মসূচির মূল দাবি ছিল— জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা এবং নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের ব্যবস্থা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন,
“আপনি যদি একটি সুষ্ঠু ভোটের ব্যবস্থা করতে পারেন, তবে দেশের মানুষ তার পছন্দের দলকে নির্বাচিত করবে। সেই সংসদ ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়ন করে দেশ পরিচালনা করবে।”

রাখাইন রাজ্য ও মানবিক করিডোর ইস্যুতে ফারুক বলেন,
“রাখাইনকে করিডোর না দিয়ে, তাদেরকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। আমরা ইতোমধ্যেই লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছি। সরকারের উচিত হবে, দেশের সম্পদ উদ্ধার করে প্রয়োজনে রাখাইনের জন্য একটি দ্বীপ রাষ্ট্র কেনার মতো উদ্যোগ নেওয়া।”

তিনি আরো বলেন,
“বাংলাদেশে যেন কোনো ষড়যন্ত্রমূলক করিডোর সৃষ্টি না হয়, যার কারণে আবারও আন্দোলনের প্রয়োজন পড়ে। এই বিষয়ে পরবর্তী সরকার যেন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সে সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।”

ফারুক আহ্বান জানান,
“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার-বিবেচনা করে কোনো ধরনের স্থায়ী সিদ্ধান্ত না নিয়ে নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের জন্য বিষয়টি ছেড়ে দিক।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন

• বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ

• বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল

• সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন

• নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক

• জাতীয় নাগরিক পরিষদের সভাপতি ডা. মাইনুল ইসলাম বাদল তালুকদার

• সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান তালুকদার প্রমুখ।