আ.লীগের বিচার নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বিচার ও পুনর্বাসন ইস্যুতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় না এনে কোনো সংস্কার সম্ভব নয় এবং দলটিকে নিষিদ্ধ করা ছাড়া বিকল্প নেই।
এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাত উল্লেখ করেন, "খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়। শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি। আর আপনারা বলছেন আওয়ামী লীগের বিচার করবেন?"
তিনি আরও বলেন, "আমরা যেভাবে অত্যাচারের শিকার হয়েছি, সেভাবে অন্য কোনো দলের সঙ্গে হয়নি। আমাদের নেতাদের ফাঁসি দিয়ে মারা হয়েছে, জেলে হত্যা করা হয়েছে।"
হাসনাত আওয়ামী লীগকে "সন্ত্রাসী সংগঠন" হিসেবে অভিহিত করে বলেন, "এই দলটির পুনর্বাসন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"
তিনি আরও বলেন, "আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের যেকোনো প্রচেষ্টা আমাদের মৃতদেহের উপর দিয়ে যাবে। যদি আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সৃষ্ট সংকটের দায়ভার আপনাদের উপরই পড়বে।"
হাসনাতের এই বক্তব্যের পর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল করেছে এবং রাজার ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত, একটি নতুন সংবিধান রচিত হওয়া উচিত, দুর্নীতিগ্রস্ত আওয়ামী আমলাদের বরখাস্ত করা উচিত, হাসিনা সরকারের সময়কালে করা সব অবৈধ চুক্তি বাতিল করা উচিত, এবং (সাহাবুদ্দিন) চুপ্পুকে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারণ করা উচিত।"
হাসনাতের এই বক্তব্য এবং পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং দলটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে।