"আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করলে সেই এজেন্ডায় এনসিপিও নেই": হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একাধিক পোস্টে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও চলমান অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায় মুখর হন। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, "যার এজেন্ডায় আওয়ামী লীগের বিচার নেই, যার এজেন্ডায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নেই, তার সঙ্গে আমরাও নেই।"

ভারতীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ

এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, "শুধু এই মাসেই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও হাইকমিশন বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি ও সামরিক পর্যায়ে অন্তত ২৩টি মিটিং করেছে।" এসব বৈঠককে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চক্রান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, "উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচারের নামে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। একটা সময় বলা হবে, এক সময়ের জনসমর্থিত রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমাদের কাজ নয়।"

বিচার বিলম্ব ও 'দ্বৈত নীতি' নিয়ে ক্ষোভ

হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও অভিযোগ করেন, “খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়। শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়।”
তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, "দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসেও তা শুরু হয়নি। অথচ বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিচার হবে?"

অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবাণ

অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি লেখেন, "তা ইন্টেরিম, এখন পর্যন্ত কী কী বিচার ও সংস্কার করেছেন?"

পটভূমি: ছাত্র আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক দল

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এদের মধ্য থেকেই গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত হয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। হাসনাত আব্দুল্লাহ এই দলে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।