রাত পেরিয়ে সকাল, যমুনার সামনে অনড় ছাত্র-জনতা
আকাশে চিকচিকে রোদ। তবু প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে ছাত্র-জনতার অবস্থান। আওয়ামী লীগের বিচার ও তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে এখনো অনড় ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচি চলমান রয়েছে সকালেও। কখনো গান, কখনো কবিতা, আবার কখনো স্লোগানে স্লোগানে উজ্জীবিত রাখা হচ্ছে কর্মসূচিকে।
রাত ১০টা থেকে সকাল ছয় ২৫ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিটের জন্যও থামেনি স্লোগান, গান, কবিতা। ক্লান্ত হয়ে পড়েননি জুলাই যোদ্ধারা। শেষ রাতে তাদের কণ্ঠ যেন আরো বজ্রময়, শানিত হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ না করে তারা ঘরে ফিরবেন না; সরবেন না যমুনার সামনে থেকে- এমন প্রতিজ্ঞার কথা বারবার বলতে শোনা যায় জুলাই যোদ্ধাদের।
গভীর রাত পেরিয়ে ফজর আজান হলে নামাজের জন্য বিরতি দেওয়া হয়। তবে, সবাই একসাথে নামাজে যাননি। পর্যায়ক্রমে তারা গেছেন। রাজপথ ধরে আছেন তারা। তবে কাউকে কাউকে দেখা গেছে, রমনা পার্ক ঘেষা ফুটপাতের গাছের গোড়ায় বসে বা শুয়ে বিশ্রাম নিতে। আবার কেউ ফুটপাতে বা কেউ রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন। তবুও ছাড়ছেন না রাজপথ।
বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে ফেসবুক পোস্টে যমুনার সামনে সবাইকে আসার আহ্বান জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম। তাকে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট দেন দলটির শীর্ষ দুই সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। তার কিছু সময়ের মধ্যে যমুনার সামনে দেখা যায় ভিড়, রাত যত বেড়েছে উপস্থিতি তত বেড়েছে সেখানে।
সকালে দেখা যায়, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এনসিপি নেতাকর্মীরা যমুনার সামনে অবস্থান নিচ্ছেন।