আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক দীর্ঘ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই বৈঠকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দলটিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে রাত ১১টার দিকে আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সভায় মোট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে। এই সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এখন কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে সক্ষম হবে।

এছাড়া, বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম, সাইবার স্পেসসহ, নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর, অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছিল। সংগঠনটির বিভিন্ন অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।