আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, বিএনপি যা বললো
শিরোনাম:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার, সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নেওয়া এ সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাপন আগামীকাল সোমবার (১২ মে) জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র।
শনিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়, দলটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বিলম্ব হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।”
রবিবার দলটির সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,
“গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালানো এই ফ্যাসিবাদী দলের বিচার করার সিদ্ধান্তকে বিএনপি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যৌক্তিক মনে করে।”
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে আওয়ামী লীগকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করে বিচার প্রক্রিয়ায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছিল। সে সময় বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছিল,
“আইনি প্রক্রিয়াতেই ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও উচিত।”
তবে বিএনপি উল্লেখ করে, অতীতে তারা প্রশাসনিক আদেশে দল নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল।
“আমরা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের আগ মুহূর্তে জামায়াতে ইসলামীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম,” বলা হয় বিবৃতিতে।
মির্জা ফখরুল বলেন,
“আমাদের আগের দাবি দ্রুত মানা হলে সরকারকে এখনকার মতো চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নিতে হতো না। আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে আরও সতর্কতার সঙ্গে রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করবে।”