বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিগত ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি বহুবার মৌখিকভাবে এবং গত ১০ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে আওয়াামী লীগের বিচার শুরু করার তাগিদ দিয়ে আসছিল। এমনকি বর্তমান সরকার আওয়াামী লীগ নিষিদ্ধ করতে যে প্রক্রিয়া অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিএনপি অনেক আগেই সেই আইনগত প্রক্রিয়ার কথা বলে আসছে। দেরিতে হলেও সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে বিএনপির প্রস্তাব আমলে নিলে সরকারকে বিব্রত হতে হতো না।  

রোববার (১১ মে) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বাঘাইতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভুবনকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

অন্তবর্তী সরকারের প্রতি অবিলম্বে সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, অনেক সময় পার হয়ে গেছে, দেশের জনগণ নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে। সংস্কার ও নির্বাচন বিলম্বিত হলে সরকারকে আবারও বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। অবিলম্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে গণঅভুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য সারাদেশের মানুষ ঢাকার রাজধানীতে যেতে প্রস্তুত। তারেক রহমান ডাক দিলে নির্বাচনের দাবিতে ঢাকায় লাখ লাখ জনতার জমায়েত হবে। কিন্তু আমরা চাই না সরকার নতুন করে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক। তবে নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা জনগণ আর সহ্য করবে না।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। অবিলম্বে আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে, অন্যথায় নির্বাচন আদায়ে দেশের জনগণ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বিচার না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে দেশের জনগণ আর চায় না। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই খুনি দোসরদের বিচার শেষ করতে হবে।  

কর্মী সমাবেশে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবু হাসনাত বদরুল কবীরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, হালুয়াাঘাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী, উপজেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, রমজান আলী, হাফিজ উদ্দিন বিএসসি, আবদুল মান্নান মাস্টার, দুলাল সরকার, নবী হোসেন প্রমুখ।