বিশ্বকাপের অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের
টানা তিন ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ খেলার সহজ সমীকরণ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতলেই কোনো হিসেব-নিকেশ ছাড়াই প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হতো বাংলাদেশের। কিন্তু ধুঁকতে থাকা সেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষেই ধরাশায়ী হলো টাইগ্রেসরা। টানা তিন জয়ের পরে হার দেখল জ্যোতি বাহিনী। এতে অপেক্ষা বাড়ল বিশ্বকাপে খেলার।
অল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা প্রত্যাশামত হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এদিন ইনিংস ওপেন করেন কিয়ানা জোসেফ ও জায়দা জেমস। জায়দা ৯ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তাকে বোল্ড করেন জান্নাতুল ফেরদৌস।
২৪ রান করা শেইমেন ক্যাম্পবেলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ব্রেকথ্রু দিয়েছেন ফাহিমা খাতুন। এরপর চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে ৬৬ রান যোগ করেন। ম্যাথিউসকে (৪৫ বলে ৩৩) ফিরিয়ে অবশেষে সেই জুটি ভেঙেছেন মারুফা আক্তার। এক ওভার পরই টেইলরকে (৫১ বলে ৩৬) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মারুফা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে ওপেনিংয়ে নেমে তেমন কিছু করতে পারেননি সোবহানা মোস্তারি (৬)। পরে অবশ্য চাপ বাড়তে দেননি শারমিন আক্তার ও ফারজানা হক। চার ম্যাচে তৃতীয়বার শতরানের জুটি গড়েন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ১১৮ রানের সেই জুটি ভাঙেন আলিয়া আলিন। প্রথমে ফেরান ফারজানাকে (৭৮ বলে ৪২) এরপর শারমিনকেও (৭৯ বলে ৬৭) ফিরিয়েছেন তিনিই।
গত নভেম্বরে জাতীয় দলে ফেরার পর নিজেকে নতুন ভাবে চেনাচ্ছেন শারমনি। নতুন এই অধ্যায়ে দশ ম্যাচে এটি তার পঞ্চম ফিফটি। সব মিলিয়ে ৬০.৩৩ গড়ে তার সংগ্রহ ৫৪৩ রান। বিশ্ব ক্রিকেটেই এই সময়ে শারমিনের চেয়ে বেশি ওয়ানডে রান নেই আর কারও। জুটি ভাঙার পর আর কেউ হাল ধরতে পারেননি। তবে শেষ দিকে কার্যকর দুটি ইনিংস খেলেন নাহিদা আক্তার (২৫) ও রাবেয়া খান (২৩)।