ছবি: সংগৃহীত

এক সময় ওয়ানডে ফরম্যাটে ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য পরিচিত ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল এবং ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়ে ৫০ ওভারের খেলায় নিজেদের শক্ত অবস্থান প্রতিষ্ঠা করেছিল টাইগাররা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই ধারাবাহিকতায় নেমেছে বড় ধস।

আইসিসির হালনাগাদ ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখন দশম স্থানে। ২০০৬ সালের পর এই প্রথম এতটা নিচে নেমে গেল দলটি। গত এক বছরে মাত্র ৯টি ওয়ানডে খেলে একটিতে জয় পাওয়া এবং বাকি ম্যাচগুলোতে পরাজিত হওয়ার ফলেই এমন অবনতি ঘটেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পরপর দুই হারের এই পতনে বড় ভূমিকা রয়েছে।

এই র‍্যাঙ্কিং পতনের প্রভাব পড়তে পারে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণেও। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এই আসরে স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে। আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল পাবে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ, আর বাকি চার দলকে যেতে হবে বাছাই পর্বে।

বর্তমানে দশম স্থানে থাকা বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। তবে কিছু বিশেষ শর্ত থাকলে এখনো আশা বেঁচে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে উঠে আসে কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা দশের বাইরে চলে যায়, তাহলে র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাংলাদেশ সুযোগ পেতে পারে।

অন্যথায় বাছাই পর্বের কঠিন পথে হাটতে হতে পারে বাংলাদেশকে, যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ওমান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নেপাল ও নামিবিয়ার মতো দল—যারা যে কোনো দিনে বড় দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখে।

২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত র‍্যাঙ্কিংয়ের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা নির্ধারিত হবে। সেই সময়ের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি না ঘটাতে পারলে টাইগারদের সামনেই অপেক্ষা করছে অনিশ্চিত ও চ্যালেঞ্জিং বাছাই পর্ব।

সব মিলিয়ে, ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা নিশ্চিত করতে হলে দ্রুতই নিজেদের পারফরম্যান্সে ঘুরে দাঁড়াতে হবে বাংলাদেশ দলকে।