শূন্য রানে ১০ উইকেট! ক্রিকেট ইতিহাসের বিরল কীর্তি

ছবি: সংগৃহীত

দশে দশ পেতে কে না চান!

ক্রিকেট ম্যাচে কোনো বোলার যদি সেটি পেয়ে যান, তবে সেটিকে বড় অর্জন বলতেই হয়। প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের সবগুলো এক বোলার নিয়েছেন, এমনটা তো আর প্রতিদিন দেখা যায় না। তবে এমন ঘটনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই আছে। জিম লেকার, অনিল কুম্বলে ও এজাজ প্যাটেল—টেস্টে ক্রিকেটে ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়া তিন বোলার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার উদাহরণ কম নেই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা হেডলি ভেরিটির। ১৯৩২ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে নটিংহামশায়ারের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ রানে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন ইয়র্কশায়ারের বাঁহাতি স্পিনার।

ক্রিকেট ইতিহাসে অবশ্য এর চেয়েও কম রানে ১০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে। স্বীকৃত ক্রিকেটের বাইরে শূন্য বা কোনো রান না দিয়েই ১০ উইকেট নেওয়ার ঘটনাই তো লিপিবদ্ধ আছে ২৫টি। যে ২৫ জন বোলার এমন কীর্তি গড়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুজনকে একটু আলাদা করে রাখতেই হয়।

প্রথমজনের নাম জেনিংস টিউন। ১৯২২ সালের এই দিনে, মানে ৬ মে শূন্য রানে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন টিউন। প্রতিপক্ষের ১০ ব্যাটসম্যানকেই টিউন বোল্ড করেছিলেন ইয়র্কশায়ারের ডিস্ট্রিক্ট বা জেলা পর্যায়ের টুর্নামেন্টের এক ম্যাচে। টিউন ছিলেন ক্লিফে দলে, প্রতিপক্ষ ছিল ইস্টরিংটন। ৫ ওভার, ৫ মেডেন, ০ রান, ১০ উইকেট—এই ছিল তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ।

৭২ বছর পর ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডের ডারহামে বয়সভিত্তিক এক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে টিউনের কীর্তির পুনরাবৃত্তি করেন অ্যালেক্স কেলি নামের ১৭ বছর বয়সী বোলার। কেলির পর আরও দুজন কোনো রান না দিয়ে ১০ উইকেট পেয়েছেন, তবে তাঁরা সবাইকে বোল্ড করতে পারেননি। সর্বশেষ ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ব্রিসবেনের একটি টুর্নামেন্টে রানাতুঙ্গাস নামের একটি দলের বিপক্ষে বেসাইড মাডিসের হয়ে শূন্য রানে ১০ উইকেট নেন ডি মর্টন।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের সব ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করার উদাহরণও আছে। আর সেই কীর্তি জন উইজডেনের। ঠিক ধরেছেন, ক্রিকেটের বাইবেল–খ্যাত উইজডেন অ্যালমানাকের প্রতিষ্ঠাতা জন উইজডেনই। ১৮৫০ সালে লর্ডসে নর্থের হয়ে সাউথের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার পথে ১০ জনকেই বোল্ড করেছিলেন উইজডেন। ঠিক কত রান খরচ করেছিলেন, সেটি অবশ্য বলার উপায় নেই। ওই ম্যাচের যে স্কোরকার্ড সংরক্ষিত আছে, সেখানে উইকেট ও আউটের ধরন থাকলেও বোলার কত ওভার বল করেছেন, কিংবা কত রান দিয়েছেন, সেই তথ্য নেই। সেই ইনিংসে সাউথ অলআউট হয় ৭৬ রানে। নিজেরা ১৩১ রানে অলআউট হয়েও সেই উইজডেনের দল জিতেছিল ইনিংস ও ১৯ রানে। তিন দিনের ম্যাচটি শেষ হয়েছিল এক দিনেই।