কাশ্মীর সংঘাতের প্রভাব আইপিএলেও: বিমানবন্দর বন্ধ, বিপাকে দিল্লি ও মুম্বাই দল

কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এখন সরাসরি সংঘাতে রূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় ভারত, যার পাল্টা জবাব দিয়েছে ইসলামাবাদ। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এই উত্তেজনার ছায়া পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও।

বিশেষ করে এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএলে (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দলের পরিকল্পনায় এসেছে বড় ধরণের পরিবর্তন। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতের ১৮টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সফর পরিকল্পনায় বিপর্যয় নেমে এসেছে।

ধর্মশালায় আইপিএলের শেষ তিনটি হোম ম্যাচ খেলছে পাঞ্জাব কিংস। বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস দলটি সেখানেই অবস্থান করছে। শিগগিরই তাদের যোগ দেওয়ার কথা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। কিন্তু ধর্মশালা বিমানবন্দর আগামী ১০ মে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এই পরিস্থিতিতে বিমানে করে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে দীর্ঘ সড়কপথে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলগুলো। বিশেষ করে ধর্মশালার আশপাশের অন্য দুই বিমানবন্দর—অমৃতসর ও চণ্ডীগড়ও বন্ধ থাকায় সংকট আরও বেড়েছে।

বিসিসিআই-এর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা আপাতত অপেক্ষা করছি। চণ্ডীগড়ও বন্ধ, ফলে বিকল্প খুবই সীমিত। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে হয়তো সড়কপথে ধর্মশালা যেতে হতে পারে। তবে সরকার কী নির্দেশনা দেয়, সেটাই মূল বিষয়।”

এদিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাদের নির্ধারিত বিমানের টিকিট বাতিল করেছে কি না, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া তাদের হাতে উপায়ও নেই।

আইপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টে নিরাপত্তা ও যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্ত উত্তেজনা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ নিয়েও সংশয় তৈরি হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।