শ্রীলঙ্কা সফরে সিরিজ জয় দিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল

সংগৃহীত

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শ্রীলঙ্কা সফরের শুরুটা ছিল বড় পরাজয়ে। তবে এরপর টানা তিনটি জয় তুলে নিয়ে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যায় আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল। চতুর্থ ম্যাচে হারের পর সিরিজ বাঁচাতে শ্রীলঙ্কার জন্য ষষ্ঠ ওয়ানডে জয় অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। তবে বৃহস্পতিবার কলম্বোর কোল্টসে অনুষ্ঠিত সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। ফলে ৬ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয় টাইগার যুবারা।

সিরিজের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও ৯৪ রানে আউট হন অধিনায়ক তামিম। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশ ৩৯.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৮ রান করে, এরপর বৃষ্টির কারণে আর খেলা সম্ভব হয়নি। এই জয় দিয়ে শ্রীলঙ্কা সফর স্মরণীয়ভাবে শেষ করে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

ম্যাচের শুরুতেই দলীয় ১ রানে ভেঙে যায় বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। শ্রীলঙ্কার স্পিনার থারুসা নবোদ্যা দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ওপেনার জাওয়াদ আবরারকে আউট করেন। সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের একজন হওয়া সত্ত্বেও তিনি ৭ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি।

উদ্বোধনী জুটির পতনের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক তামিম। ওপেনার কালাম সিদ্দিকির সঙ্গে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। তবে ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে কালাম এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন; তাকে আউট করেন লঙ্কান লেগস্পিনার হিমাল রবিহানসা। ৪৫ বল খেলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩১ রান করেন কালাম।

তৃতীয় উইকেটে রিজান হোসেনের সঙ্গে ১০৮ রানের জুটি গড়ে বড় স্কোরের ভিত তৈরি করেন তামিম। তবে ৩৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লঙ্কান অলরাউন্ডার কুগাথাস মাথুলান তামিমকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন। ১১১ বল খেলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৯৪ রান করেন তামিম। তার বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৪ রান। তামিমের আউটের পর উইকেটে আসেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

সফলতার পাশাপাশি কিছু ব্যর্থতা থাকলেও, রানের বন্যা ও সেঞ্চুরির স্মৃতি নিয়ে সিরিজ জয় দিয়ে শ্রীলঙ্কা সফর শেষ করে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল।