ভারতের গণমাধ্যম পরিণত হয়েছে কার্টুন নেটওয়ার্কে

সংগৃহীত

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে ভারতীয় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের গণমাধ্যম বিশ্বাসযোগ্য সংবাদকক্ষের বদলে কার্টুন নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায় আফ্রিদি এই মন্তব্য করেন, যখন একই দিনে ভারত ও পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি লিগ আইপিএল ও পিএসএল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

 

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীর হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত ৬ মে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর পরের দিন পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ড্রোন হামলা হয়। এই হামলার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে ড্রোনের আঘাতে একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে পিএসএলের খেলা বাতিল করতে বাধ্য হয় পিসিবি।

 

অন্যদিকে, ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে অনুষ্ঠিত আইপিএল ম্যাচ নিরাপত্তাজনিত কারণে মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সময় ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে ভারত। এরপর বিসিসিআই ঘোষণা দেয়, আইপিএলের চলমান আসর এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

 

আফ্রিদি তার পোস্টে লেখেন, "খেলাধুলা সীমান্ত, ধর্ম এবং রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা ভুলিয়ে মানুষকে একত্রিত করে। কিন্তু আজ সেই খেলাই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। পিএসএলকে দুবাইয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং আইপিএল স্থগিত করা হয়েছে। ভারতীয় ড্রোন রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের বাইরে আঘাত হেনেছে। একসময় ক্রিকেট আমাদের একত্রিত করত, আর এখন সেটাই দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়েছে।"

 

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভারতীয় গণমাধ্যম সাংবাদিকতার মূল্যবোধ থেকে সরে এসে নিরপেক্ষতার বদলে ব্যঙ্গচিত্রে পরিণত হয়েছে। আফ্রিদির ভাষায়, "ভারতীয় গণমাধ্যম আর সত্যনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদকক্ষ নয়, এটি এখন কার্টুন নেটওয়ার্কে রূপান্তরিত হয়েছে।"

 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে খেলা আবার মাঠে ফিরুক, এই আশাও প্রকাশ করেন আফ্রিদি। তিনি লেখেন, "স্টাম্পগুলো আবার দাঁড়াক। শুধু খেলার জন্য নয়, শান্তির জন্য।"

 

এদিকে, পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বাবর আজম, শাহিন আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শহীদ আফ্রিদি। ভারত থেকে তাদের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করলে দেখা যায়, "এই অ্যাকাউন্ট বর্তমানে ভারতে প্রবেশযোগ্য নয়। এটি একটি আইনি অনুরোধ মেনে কনটেন্ট সীমিত করা হয়েছে।"