অবসরের সিদ্ধান্ত কোহলির

বিরাট কোহলি । ছবি: সংগৃহীত

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) জানিয়েছেন বিরাট কোহলি। আগামী জুনে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরের আগে এ সিদ্ধান্ত জানান তিনি।

ক্রিকেট-বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানতে পেরেছে, গত এক মাস ধরে কোহলি এই বিষয়ে বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

আগামী ২০ জুন থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে ইংলিশদের বিপক্ষে পাঁচটি টেস্ট খেলতে ভারত। ধারণা করা হচ্ছে, এই সফরে কোহলিকে স্কোয়াডে রাখা হতে পারে। তবে কোহলি যদি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, তাহলে ১৪ বছরের এক গৌরবময় ক্যারিয়ারের ইতি ঘটবে। যেখানে তিনি ১২৩টি টেস্টে, যার ৬৮টি অধিনায়ক হিসেবে খেলে ৪৬.৮৫ গড়ে করেছেন ৯ হাজার ২৩০ রান।

তবে সম্প্রতি টেস্ট ফরম্যাটে সময়টা খুব ভালো যাচ্ছিলো না কোহলির। ২০২৪ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থ টেস্টে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসটি ছিল ২০২৩ সালের জুলাইয়ের (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, পোর্ট অব স্পেনে) প্রথম টেস্ট শতক।

২০১৯ সালে কোহলির ব্যাটিং গড় ৫৫.১০ পর্যন্ত উঠেছিল। ওই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পুনেতে ক্যারিয়ারসেরা ২৫৪* রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু গত ২৪ মাসে সেই গড় নেমে এসেছে ৩২.৫৬ তে।

কোহলির খারাপ দিনেও বোর্ড, পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাচকরা মনে করছেন, এই সফরে তার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশেষ করে ভারত নতুন অধিনায়কের অধীনে খেলার কারণে। দীর্ঘদিন ভারতীয় দলকে নেত্বত্ব দিচ্ছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু গেল সপ্তাহে অভিজ্ঞ এ তারকা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন। আর নতুন অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে সবার আগে আছেন শুবমান গিল।

রোহিত শর্মার আগে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন কোহলি। তার অধীনে ভারত ৬৮ ম্যাচে ৪০টি জিতেছিল, হেরেছিল মাত্র ১৭টি। ৪০টি জয় কোহলিকে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। যেখানে মহেন্দ্র সিং ধোনির ছিল ৬০ ম্যাচে ২৭ জয়ের রেকর্ড। আর সৌরভ গাঙ্গুলির ছিল ৪৯ ম্যাচে ২১ জয়।

টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে কোহলির অন্যতম সেরা মুহূর্ত অর্জনগুলো ইংল্যান্ডেই, ২০১৮ সালের সফরে। ওই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৫৯.৩০ গড়ে পাঁচ ম্যাচে ৫৮৩ রান করেছিলেন, সঙ্গে দুই সেঞ্চুরি। ওই বছরই ছিল কোহলির ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের বছর, ১৩২২ রান।