পঙ্গু ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যৌথ বাহিনীর দালালবিরোধী অভিযান, আটক ১০
রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (নিটোর) ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত দুই দিনে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও সিটি কর্পোরেশন মিলে দালাল চক্রের সদস্য ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে দালাল চক্রের ১০ সদস্যকে আটক ও শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে যৌথ বাহিনী।
গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল (নিটোর) এ অভিযান চালানোর পরদিন (বুধবার) সকাল ১১ টা থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক ও উচ্ছেদ করা হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় পঙ্গু হাসপাতাল অর্থাৎ জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (নিটোর) এলাকায় শুরু হওয়া অভিযানে দালাল চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করা হয়। যারা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি বাণিজ্য, প্রতারণা এবং সুযোগ-সুবিধার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছিল। আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা শিক্ষার্থীরাও এই চক্রের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে চক্রটির সদস্যদের আটক করে এবং হাসপাতাল চত্বর ও আশপাশের অবৈধ দোকান ও অস্থায়ী স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে।
পরদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় পুনরায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় আরও তিনজন দালালকে আটক করা হয়। যারা এ হাসপাতাল থেকে রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করছিলো। তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সেনা কর্মকর্তা জানান, জনস্বার্থে আমাদের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমানো এবং সরকারি চিকিৎসাসেবা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। অভিযানে আটক সকলকে শেরেবাংলা নগর থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যৌথ বাহিনীর এ অভিযানকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা স্বাগত জানিয়েছে। সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা ভালোভাবে পেতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তারা। রোগী ও তাদের স্বজনরা এই উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দালালদের দৌরাত্ম্য ও অনিয়মের কারণে প্রকৃত চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। এই পদক্ষেপে সত্যিকার অর্থে স্বস্তি ফিরে এসেছে।